গ্রাফিক ডিজাইন কি? কত প্রকার? কেন শিখব? কিভাবে শিখব?

BanglaInfoHub.com

28 May, 2025

বিশ্বের প্রতিটি বড় বা ছোট ব্যবসার পিছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী গ্রাফিক্স ডিজাইন। এটা শুধু ছবি বা লোগো তৈরির বিষয় নয় এটা একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা বার্তা পৌঁছে দেয়। এই ডিজাইনের মাধ্যমে ব্র্যান্ড ভেলোর আত্মপ্রকাশ ঘটে।

গ্রাফিক ডিজাইন কি ?কত প্রকার? কেন শিখব? কিভাবে শিখব? এই প্রশ্নগুলো অনেকের মনে ঘুরপাক খায় সাধারণত যারা নতুন গ্রাফিক ডিজাইন শিখছে বা শিখবে বা শিখার আগ্রহ প্রকাশ করছে এদের মনে এ ধরনের প্রশ্ন অনেক বেশি হয় বা অনেক বেশি দেখা যায়। এখনকার অনলাইন ভিত্তিক দুনিয়াতে প্রতিনিয়ত অনলাইন কাজ বা গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা বাড়ছে। আপনি যদি এই অনলাইন আয়ের সুবর্ণ সুযোগ এ অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে এই কনটেন্টি আপনার জন্য। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তাহলে একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রয়োজন যেটির মাধ্যমে সামনে এগোতে হবে। আপনাদের সঠিক গাইডলাইন দেওয়ার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল।

কি কি জানতে পারবো এই আর্টিকেল থেকে চলুন এক নজরে দেখে নেই

গ্রাফিক ডিজাইন কি?
কি কি কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়?
গ্রাফিক ডিজাইন কত প্রকার?
গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখব?
গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন এত জনপ্রিয়?
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে ভবিষ্যৎ কেমন হবে?
একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের আয় কত?

গ্রাফিক ডিজাইন কি?

গ্রাফিক ডিজাইন হলো চিত্র, লেখাসহ অন্যান্য ভিজুয়াল উপাদান ব্যবহার করে বার্তা দেয়া। এটি একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যেখানে রং, ফন্ট, ছবি ও আকারের মাধ্যমে বিষয়ের প্রকাশ পায়। সাধারণত একটি সুন্দর ডিজাইন মানুষকে আকর্ষিত করে এবং তাদের মনোযোগ আকৃষ্ট করে।

আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে-আমরা ছোটবেলায় যখন বিভিন্ন ধরনের চিত্র আকাতাম গাছ, বাড়ি,নদী বিভিন্ন চিত্র আঁকতাম। তেমনি একজন ডিজাইনার বা চিত্রশিল্পী কম্পিউটারের সফটওয়্যার মাধ্যমে তার মনের সকল রং মিশে যে চিত্র আঁকে এবং চিত্রের মধ্যে বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলে তাকে গ্রাফিক ডিজাইন বলে।

উপরে চিত্রের মাধ্যমে (Facebook logo) ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়াম কে বোঝানো হচ্ছে। ফেসবুকের লোগো দ্বারা ফেসবুককে বোঝানো হচ্ছে।

কি কি কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়?

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ কি? এবং কি কি কাজ করে? গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার হয়। চলুন আমরা সেগুলো জেনে আসি

১. বিজ্ঞাপন: প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারের জন্য পোস্টার, ফ্লায়ার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়

২. কোম্পানি ব্র্যান্ডের: কোম্পানির লোগো ভিজিটিং কার্ড কর্পোরেট ডিজাইন এবং নিউজ তৈরি করার জন্য গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়।

৩. পণ্য প্যাকেজিং ডিজাইন: পণ্য প্যাকেজ বা পণ্য প্যাকেজটা আকর্ষণ করার জন্য যে ডিজাইন করা হয় সেটা কি কে প্যাকেজিং ডিজাইন বলা হয়। পণ্যের প্যাকেজিং ডিজাইন যত আকর্ষণীয় হয় প্রোডাক্টের ভ্যালু তত সমৃদ্ধ হয়।

৪. ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন করতে এটি ব্যবহার করা হয়। এবং ওয়েবসাইটের ভিতরের ডিজাইন টাকে সুন্দরভাবে কাস্টমাইজিং করা যায়। যাতে করে ওয়েবসাইট ভিজিটরা একটি সুন্দর ভিউ পায়। ওয়েবসাইটের লেআউট এ গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে সুন্দর করা যায় এবং অ্যাপ ইন্টারফেস ডিজাইন করা যায় আইকনো বাটন ডিজাইন করা যায় যেটির মাধ্যমে ওয়েবসাইটের আকর্ষণীয়তা বাড়ায় এবং ভিজিটরদের আকর্ষণ করে।

৫. প্রিন্ট মিডিয়া: বইয়ের কাভার ডিজাইন, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, লেআউট প্যাকেজিং ডিজাইন যেমন খবরের প্যাকেজ কসমেটিক এগুলা ডিজাইন করা হয়।

৬. মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টারটেইনমেন্ট: ভিডিও এডিটিং, মুভি পোস্টার, এনিমেশন গেম, ডিজাইন এগুলো করা হয় এই গ্রাফিক ডিজাইন ব্যবহার করে।

৭. ডিজিটাল মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ডিজাইন, youtube থাম্বেল, বিজ্ঞাপন ডিজাইন ইমেল মার্কেটিং টেমপ্লেট, এগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করে করা হয়।

গ্রাফিক ডিজাইন কত প্রকার?

গ্রাফিক ডিজাইন মূলত কাজের ধরন ও ব্যবহারের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা হয়।। সাধারণভাবে গ্রাফিক ডিজাইন কে ৮টি প্রধান প্রকারে ভাগ করা যায়:

(১) ভিজুয়াল আইডেন্টিটি ডিজাইন

ব্রান্ডের লোগো কালার প্যালেট টাইপোগ্রাফি এবং ব্র্যান্ড গাইডলাইন তৈরি করা।
উদাহরণ: কোকা -কোলার লোগো লোগো নায়কের স্লোগান ডিজাইন

(২) মার্কেটিং ও অ্যাডভারটােইজিং ডিজাইন

বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ব্রোশার, বিলবোর্ড ইত্যাদি ডিজাইন করা।
উদাহরণ: ম্যাগাজিন অ্যাড, ডিজিটাল ব্যানার।

(৩) ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন

ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যার ইন্টারফেস ডিজাইন করা।
উদাহরণ: ফেসবুক অ্যাপ ইন্টারফেস এমাজনের ওয়েবসাইট লেআউট।

(৪) পাবলিকেশন ডিজাইন

বই, ম্যাগাজিন, নিউজ লেটার, ই-বুক ইত্যাদি লেআউট ও গ্রাফিক্স ডিজাইন।
উদাহরণ: ভোগ ম্যাগাজিনের কভার ডিজাইন।

(৫) প্যাকেজিং ডিজাইন

পণ্যের প্যাকেজিং ডিজাইন করা, যাতে আকর্ষণীয় এবং তথ্যসমৃদ্ধ হয়।
উদাহরণ: ডেটল বোতলের লেভেল ডিজাইন।

(৬) মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন

অ্যানিমেশন, ভিডিও গ্রাফিক্স, টিভি অ্যাড ইত্যাদি তৈরি করা।
উদাহরণ: ইউটিউব ইন্ট্রো ভিডিও, টিভি কমার্শিয়াল।

(৭) এনভারমেন্ট ডিজাইন

সাইনবোর্ড, ওয়াল গ্রাফিক্স, প্রদর্শনী স্টল ইত্যাদি ডিজাইন করা।
উদাহরণ: মিউজিয়ামের নেভিগেশন সাইনেজ।

(৮) আর্ট অ্যান্ড ইলাস স্টেশন ডিজাইন

শিল্পকলা, বইয়ের ইলাস্ট্রেশন, ক্যারিকেচার, ডিজিটাল আর্ট ইত্যাদি।
উদাহরণ: চিলড্রেনস বুকের ছবি, টি শার্ট ডিজাইন।

এছাড়া ও টাইপোগ্রাফি ডিজাইন jc, ইনফোগ্রাফি ডিজাইন, এবং প্রিন্ট ডিজাইনও গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্বপূর্ণ শাখা। প্রতিটি ধরনের ডিজাইনের জন্য আলাদা দক্ষতা ও সফটওয়্যার (যেমন addbe photoshope, lllustrator, inDesign) প্রয়োজন হয়।

গ্রাফিক ডিজাইন কেন শিখব?

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার অনেকগুলো সুবিধা এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এটি শুধু একটি ক্রিয়েটিভ স্কিল নয়, বরং বর্তমান ডিজিটাল যুগের এটি একটি উক্ত চাহিদা সম্পন্ন এবং লাভজনক কেরিয়ার অপশন। নিচে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার প্রধান কারণ গুলো তুলে ধরা হলো:

(১) চাকরি ও ফ্রিল্যান্সিং সুযোগ

ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাড এজেন্সি, প্রিন্ট মিডিয়া, গেম ডেভেলপমেন্ট, ইউআই/ইউ এক্স ডিজাইন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম (আপ ওয়ার, ্ক ফাইবার), থেকে আয় করা বিশাল সুযোগ রয়েছে।

(২) ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশের মাধ্যম

আপনার আর্টিস্টিক আইডিয়াগুলো ভিজুয়াল আর্ট, লোগো, ইলাস্ট্রেশন বা অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন

(৩) নিজের ব্র্যান্ড বা ব্যবসা প্রমোট করা

যদি আপনি উদ্যোক্তা হন, তাহলে নিজের বিজনেস লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, প্যাকেজিং ইত্যাদি ডিজাইন করে মার্কেটিং খরচ কমাতে পারেন।

(৪) ঘরে বসে আয়ের উৎস

গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ রিমোট জব বা ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে করা যায়, যা স্থান ও সময়ের স্বাধীনতা দেয়।

(৫) টেকনোলজি ও টেন্ডদের সাথে আপডেট থাকা

ডিজাইন টুল (photoshop, lllustrator,canva) এবং ডিজাইন ট্রেন্ড (Minimalism,3D Design) শিখে আপনি টেক সার্ভিস হয়ে উঠবেন।

(৬) বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রয়োগ যোগ্যতা

ফ্যাশন, এডুকেশন, এন্টারটেইনমেন্ট, হেলথ কেয়ার-দিয়ে শুরু করা সম্ভব।

(৭) গ্লোবাল মার্কেটিং কাজের সুযোগ

অনলাইনে বিদেশি ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে আন্তর্জাতিক মানের ইনকাম সম্ভব।

(৮) অন্যান্য স্কিলের সাথে কম্বিনেশন

ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, বা অ্যানিমেশন এর সাথে গ্রাফিক ডিজাইন শিখেলে ক্যারিয়ার অপশন বহুগুণ বাড়বে

কাদের জন্য উপযুক্ত?

যারা ক্রিয়েটিভ এবং আর্ট আগ্রহী
যারা ফ্রিল্যান্সিং বা রিমোট জব চান
মার্কেটিং, ব্লগার,

গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন এত জনপ্রিয়?

দেখে বোঝানো বা কেবল পড়ে বোঝানো- কোনটাই এত তাড়াতাড়ি সম্ভব নয়। ছবি বা গ্রাফিক দেখলে মনে সহজে ধরা যায়। এমনকি জটিল ধারণাগুলোকেও দ্রুত বুঝিয়ে দেয়। তাই আপনার তথ্য বা ব্যাপার যতই কঠিন হোক না কেন ভিজুয়াল উপ স্থাপন সহজ করে দেয়।

ডেটা ও তথ্যের জটিলতা সহজ করতে

এখন তো নানা ধরনের ডেটা আর ইনফোগ্রাফি ছাড়া কাজ হয় না। যেমন, বিশ্লেষণ বা রিপোর্ট দেখাতে ইনোগ্রাফি অতি দরকারি। এনিমেশন বা ডায়াগ্রাম দিয়ে সহজে বোঝানো যায় যা সাধারণ ভাষায় বোঝানো কঠিন।

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রসাদ

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব-এর সব প্লাটফর্মে ছবি, ভিডিও বা মাইন্ড শেয়ারিং গ্রাফিক্সের গুরুত্ব বাড়ছে। ভালো মানের গ্রাফিক্স দিয়ে পোস্টগুলো দিলে ভাইরাল হলেওর বেশি সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং মিডিয়ায় প্রতিযোগিতা জিততে হলে প্রফেশনাল ডিজাইনার অপরিহার্য।

পেশাগত দিক থেকে চাহিদা বৃদ্ধি

চাকরির বাজারে গ্রাফিক ডিজাইনারের চাহিদা বাড়ছে। নতুন প্রযুক্তি ও টুলস শিখে আপনি চাকরি ক্যারিয়ার বানাতে পারেন। এটি একট এক ধরনের সুরক্ষিত ও লাভজনক কাজ যা সময়ের সাথে সমৃদ্ধি বাড়ায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে ভবিষ্যৎ কেমন হবে?

গ্রাফিক ডিজাইন শিখলে ভবিষ্যতে আপনার ক্যারিয়ার অত্যন্ত উজ্জ্বল হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া, গেম ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং এবং এডভারটাইজ এর মত ক্ষেত্রে গ্রাফিক ডিজাইন এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করে আপনি বিশ্বজুড়ে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন, যা স্থান ও সময়ের স্বাধীনতা দেবে। এবং নতুন টেকনোলজির সাথে অভ্যস্ত হয়ে আপনি আরো বেশি অপরচুনিটি পাবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিল্প হিসেবে আপনি নিজের ক্রিটিভিটি কাজে লাগিয়ে আর্থিক ও পেশাগত সফলতা অর্জন করতে। এ ধরনের স্কিল অর্জন করে আপনি পেশাগত জীবনে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। ভবিষ্যতে আপনার এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপন এবং আর্থিক সমৃদ্ধি পাবেন।

একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের আয় কত?

একজন গ্রাফিক ডিজাইনের এ আয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, লোকেশন, এবং কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন হয়। নিচে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হল:

(১) বাংলাদেশে গড় আয়(ফ্রেশার/জুনিয়র লেভেল):

ফ্রিল্যান্সিং(fiverr,upwork): $50-300$/মাস(শুরুতে)
স্থানীয় চাকরি: 10000-30000 টাকা/মাস
সিনিয়র ডিজাইনার:40000-80000 টাকা/মাস

(2) ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট(রিমট জব):

এন্টি লেভেল: $100-500$/মাস
মেট লেভেল: $500-2000/মাস
এক্সপার্ট/স্পেশালাইজড:$2000-10000$/মাস

সারমর্ম: দক্ষতা এবং মার্কেটিং কৌশল বাড়ালে গ্রাফিক ডিজাইনার থেকে স্থায়ী ও উচ্চ আয় সম্ভব শুরুতে ধৈর্য ধরুন পরে আয় বাড়াবে।